★★→এভাবে গাল ফুলিয়ে আছিস কেনো?(নিশির মা)
-এমনি(নিশি)
-এমনি মানে? কি হয়ছে বল
-আমাদের বাড়িতে যে একটা পালা কুত্তা থাকে তার জন্য
-কুকুর আবার কি করলো?
-মানুষ রুপে একটা কুকুর আছে না? আমি তার কথা বলছি
-আরে কে সে?
-শুভ
-বুঝলাম তো শুভ,এখন ও কি করছে?
-ওর জন্য এবারো আমি পরীক্ষায় এক নম্বর হতে পারি নাই
-ঐ চোর টা আবার এক নম্বর হয়ছে?
-হ্যা
-তোর বাবারে কত করে বললাম যে তার পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে কিন্তু তোর বাবাতো এসব শুনবেইনা
-শুনবে কেনো? এই ছাগলটা তো ওনার ভাতিজা লাগে।
তখন নিশির বাবা অন্য রুম থেকে এসে...
-ঠিকমতো পড়ালেখা না করলে এক নম্বর কিভাবে হবি?(নিশির বাবা)
-কে পড়ালেখা করেনা? তুমি কই থাকে সারাদিন? আমার মেয়েটা সারাক্ষণ ই পড়ালেখা করে
-হয়ছে চুপ করো,শুভ কি জোর করে এক নম্বর হয়ছে? শুভ সে পড়ালেখা করে তাই সে আগেকার মতো এবারো এক নম্বর স্থান অর্জন করছে।
-ও যতটুকু পড়ছে তাতে যথেষ্ট হয়ছে এখন তাকে বাড়ি থেকে বেড় করে দাও,সে তার জীবন চালাতে পারবে
-চুপ করো, ও যদি আমার ভাইয়ের ছেলে না হয়ে তোমার ভাইয়ের ছেলে হতো তাহলে কি করতা?
-নিশির মা তখন চুপ হয়ে রাগে ফুলতে থাকে -নিশির বাবা তখন মোবাইল হাতে নিয়ে শুভর মোবাইলে ফোন দিয়ে
-শুভ কোথায় আছিস?
-এইতো রাস্তায় আছি
-ওকে সাবধানে আসিস
-আচ্ছা।
নিশি তার মা-বাবার একমাত্র আদরের মেয়ে। যখন যা চায় তা
-ই আদায় করে নেয়।পড়ালেখায় ও বেশ ভালো কিন্তু একটা কথা আছে না? বাপের উপরে বাপ আছে নিশি পড়ালেখায় ভালো হলেও তার চেয়ে আরো বেশি ভালো শুভ।
শুভ নিশির চাচাতো ভাই। শুভ যখন ছোট ছিলো তখন তার মা-বাবা একসাথে লঞ্চ ডুবে মারা গিয়েছিলো।
সেদিন থেকে নিশির বাবা শুভকেও নিশির মতো আদর করে বড় করছে। তারা দুজনই এক ক্লাসে পড়ালেখা করে।
নিশি পড়ালেখায় ভালো হলেও শুভকে সে দু চোখে দেখতে পারে না । শুভ যখন তার সামনে দিয়ে যায় তখন নিশির ইচ্ছা হয় গলা টিপে মেরে ফেলতে।
মাসেক খানের পর ভার্সিটির ক্লাস শুরু হয়। শুভ ক্যম্পাসে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে এমন সময়
-দোস্ত তোর চাচাতো ভাই টা হেব্বি
-কিহ?
-হ্যা দেখলেই মাথা নষ্ট হয়ে যায়
-তোর নজর তো ফকিন্নি মার্কা নজর
-এমন একটা চাচাতো ভাই থাকলে এতদিনে কি যে হতো বলে লাভ নাই
-নিশি তার বান্ধবীর মুখে এই কথা শুনে সে আরো রেগে গিয়ে
-তোরা এখানে থাক আমি গেলাম বলে নিশি ক্লাসের দিকে চলে যায়।
ক্লাসে স্যার আসার পরে সবার সাথে পরিচিত হওয়ার পরে -আজকে ৩য় বর্ষের প্রথম ক্লাস তাই কোনো পড়াচ্ছি না
-তখন ক্লাসের কিছু ছাত্রের মুখে হাসি ফুটে উঠে
-এই ছেলে দাড়াও(শুভর দিকে আঙ্গুল করে)
-স্যার আমি?
-হ্যা,ঐদিকে কার সাথে কথা বলো?
-না তো স্যার
-এদিকে আসো
-শুভ তখন ভয়ে ভয়ে সামনে যায়
-শুভকে এভাবে সামনে নেওয়া দেখে নিশি মনে মনে অনেক খুশি
-গান পারো?
-না স্যার
-তাহলে একটা গল্প বলো
-কি ধরনের গল্প?
-হাসির গল্প
-ওকে স্যার
দাদা আর দাদী তাদের ৬০ বছর বিবাহবার্ষিকীতে ইচ্ছা হলো, তারা তাদের প্রথম প্রেমের স্মৃতি রোমন্থন করবেন।
তারা প্রথম প্রথম যেভাবে প্রেম করতেন সেভাবে ডেটিং এ যাওয়ার প্ল্যান করলেন!!
তো দাদা সেজেগুজে ফুল নিয়ে পার্কে গিয়ে অপেক্ষা করছিলেন যেখানে তারা আগে দেখা করতেন!! সারাদিন অপেক্ষা করার পরও দাদী এল না। ।
দাদা রেগে মেগে বাড়িতে গিয়ে দেখলেন যে দাদী বসে আছে।
দাদা রেগে বললেনঃ “পার্কে আসলে না কেন??” দাদী লজ্জিত গলায় বললেনঃ “আম্মা বের হতে দেয় নি!
গল্প বলার পরে স্যার সহ সবাই হেসে দেয়। শুভ তখন নিশির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে সে তার সিটে গিয়ে বসে।
ক্লাস শেষ হওয়ার পরে বাসায় যাওয়ার পরে
-শুভ সন্ধ্যায় তোর ছোট মা আর নিশিকে নিয়ে এক জায়গায় যেতে হবে
-কোথায়?
-নিশির খালাতো বোনের বিয়ে
-আপনি যাবেন না?
-যাবো,ঢাকায় একটা মিটিং আছে, সেটা শেষ করে তারপর ওখানে যাবো
-ওকে
-সাবধানে ড্রাইভ করে নিয়ে যাস
-ওকে
সন্ধ্যার দিকে
-নিশি রেডি হইছিস?
-হ্যা
-ওকে তুই গাড়িতে গিয়ে বস
-ওকে
-শুভ
-হ্যা ছোট মা আপনারা যান আমি আসছি
-তারাতারি আয়
-শুভ গাড়িতে উঠে নিজে ড্রাইভ করে বিয়ে বাড়িয়ে পৌছায়।
বিয়ে বাড়ি যেমন থাকার ঠিক তেমনি চারদিকে মানুষের হৈ চৈ।
কতক্ষণ পরে -নিশি এটা কে রে?(একটা মেয়ে) -আমাদের বাড়ির..............
0 Comments