ভালবাসি...

গল্প_শুধুই_অবহেলা


____ প্লিজ একটু সময় করে পুড়ো গল্পটা পরেন । গল্পটা পড়ে না কেঁদে কেউ যেতে পাড়বেন না


 ★★→.তোকে কতো বার বলবো আমার কাপড় গুলা একটু ভালো করে পরিষ্কার করবি ...


  বুঝিনা বাবা তোকে কি করতে এই বাড়িতে রেখেছে.....


  শুধু শুধু আমার বাবার অন্য ধংস্স করছে..... তোর বাবা,মা গেলো তো গেলো তোকে কেন নিয়ে গেলো না কে জানে...


  আপদ একটা... এবার জদি ভালো করে পরিষ্কার না করিস তাহলে মাকে বলে আজ তোর খাওয়া বন্ধ করে দিবো!


  (কথা গুলো দিপা আপু হন হন করে চলে গেলো আর আমার আকাশ থেকে টুপটাপ বৃষ্টি নামতে শুরু করলো)


  কি ভাবছেন ওপোরের কথা গুলো কেন আমাকে বললো???


  তাহলে শুনন

  আমি রাজু ইসলাম সাগর....আর পাচটা ছেলেমেয়ের মতো আমার জীবন না,,,


  ইন্টার ফাস্ট ইয়ার এ পরি.... 

 আর যে আমাকে কথা গুলো বললো সে আমার চাচাতো বোন সাবরিনা আলম দিপা!


  আমি এতিম মানে মা,বাবা কেউ নেই! আমাকে রেখে তারা ঐ আকাশের তারা হয়ে গেছে....


  আমার বয়স যখন ৫ বছর তখন তারা একটা রোড এক্সিডেন্টে মারা যাই!


  তারপর থেকেই চাচা,চাচির বাড়ি তে আছি,,,,

  তবে বাড়ির ছেলে হয়ে নই কাজের মানুষ হয়ে,,,,


  একটু আগে বললাম না আমি এতিম কিন্তু আমি ভাবি আমি এতিম না আমি তো চাচা, চাচিকে নিজের মা, বাবা ভাবি, আর দিপা আপুকে নিজের বোন,


  কিন্তু চাচা আমাকে নিজের ছেলে ভাবলেও চাচি,আর আমার বোনটা আমাকে কাজের লোক ছাড়া কিছুই ভাবে না...


  আমাকে এমন কোনো দিন নেই যে চোখের পানি ফেলতে হয় না!


  অনেক কান্না করি রাতে,,

  শুধু যে আমাকে অপমান অবহেলা করে তা না, আমাকে অনেক মারধোর ও করা হয়,,


  কেউ যদি আমার পিঠ দেখে তাহলে হতোবাক হয়ে যাবে কারন অনেক লাঠির দাগ আছে!


  আমি যে পড়ালেখা করছি সেটাও সবার সাথে লড়াই করে কারন আমার আম্মু, আব্বু আমাকে সব সময় বলতো তোকে অনেক বড় হতে হবে,

  মানুষের মতো মানুষ হতে হবে!


  তখন কথাটা বুঝতাম না কিন্তু এখন বুঝি তাই শতো কষ্টের মাঝেও পড়া লেখা টা চালিয়ে যাচ্ছি!


  আপনারা ভাবছেন এতো কষ্টের মাঝে আমি এখানে আছি কেন,,,


  কারন আমি যে চাচা,চাচি দিপা আপুকে অনেক ভালোবাসি! তাই ছেড়ে যেতে পারি না!


  এতো শুনলেন আমার অতীত এখন বাস্তবে আসি ..........


  হুমমম সব কাপড় ধোয়া শেষ করে এখন ঘর মুছছি.....


  হটাৎ কিছু পরার শন্দ পিছনে ঘুরে দেখি একটা ফুলদানি পরে ভেঙে গেছে!


  হায় হায় এটা আমি ভেঙে ফেলাম এখন কি হবে..... 


 আর এদিকে শব্দ পেয়ে চাচি সাথে সাথে দৌড়ে আসে তারপর দেখে ফুলদানি টা ভেঙে গেছে,,,,,, 


 চাচি→ কি করে ভাংলো???

  আমি→ আসলে চাচি আমি বুঝতে পারিনি যে পিছোনের টেবিলে ফুলদানিটা ছিলো.....


  তাই কিভাবে যেন লেগে পড়ে ভেঙে যায়!


  ঠাসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসস চাচি→ এটা কি তোর বাপের টাকায় কিনা,,,


, দেখে কাজ করতে পারিস না,,, জানিস এটা দিপার কতো প্রিয়ো!


  আমি→...................

  


চাচি→ আজ তোর খাওয়া বন্ধ, আপদ একটা কি করতে যে তোর বাবা,মা তোরে রেখে গেলো কে জানে!


  সাথে করে নিয়ে গেলেই ভালো হতো!

  আমি→............ 


(চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে) চাচি,→ হামজাদা দাড়িয়ে আছিস কেন এগুলো কি তোর মরা মা এসে পরিস্কার করবে


  তারপর আমি সেই ভাঙা টুকরো গুলো পরিস্কার করতে লাগলাম.......


  আউচচচ হাতটা কেটে গেলো,,,

  রক্ত বের হচ্ছে আসলেই আমি কোনো কিছু পারি না!


  পরুক রক্ত......

  হাত কাটাতে তো সামান্য কষ্ট হচ্ছে কিন্তু তার চেয়েও তো অধিক কষ্ট লাগলো চাচির কথা গুলো শুনে........


  আচ্ছা চাচি কি আমাকে একটু আদর করতে পারে না,,, দিপা আপুকে তো কতো আদর করে,,, আমার ও তো ইচ্ছে করে একটু আদর পেতে! চাচি কেন তাকে মা বলতে বারন করে আমারও তো অনেক ইচ্ছে হয় আমিও কাউকে মা বলে ডাকি............ 


 এখন আমি আমার বিছানায় শুয়ে আছি দুপুরে কিছু খেতে দাইনি ভেবেছিলাম রাতে খাবো কিন্তু দিপা আপু ফুলদানি টা আমি ভেঙেছি জেনে সে আমার রাতের খাওয়া অফ করে দিয়ে.....  


অনেক খুদা লেগেছে সারাদিনে শুধু পানি খেয়ে আছি তাই মাথাটাও অনেক ব্যাথ্যা করছে..... চাচাকে আমি এসব বলিনা,,,চাচা যদি এসব জানতে পারে তাহলে অনেক কষ্ট পাবে আর সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হবে......


  মাঝে মাঝে আমার এই নিষ্ঠুর সমাজে থাকতে মন চাইনা,,,, মা,বাবার কাছে যেতে চাই... অনেক কষ্ট হয় যখন আপু আর চাচি বলে, আমাকে কেন আমার বাবা,মা সাথে করে নিয়ে গেলো না..... চাচি কেন আমাকে তার ছেলে ভাবতে পারেনা, আমার তো খুব ইচ্ছে হয় চাচিকে মা ডাকতে, চাচি তো দিপা আপুকে নিজের হাতে খাইয়ে দাই,,,


  চাচি কি বুঝতে পারে না আমারও তো খুব ইচ্ছে করে তার হাতে খেতে ,,, কিন্তু আমাকে তো ঠিক মতো খেতেই দাই না,,,


  আর দিপা আপু সব সময় আমার সাথে ওমন করে কেন আমি তো তার ছোট ভাই আমার সাথে তো একটু ভালো ব্যবহার করতে পারে....


  কেন আমাকে সবার সামনে তার ভাই বলে পরিচয় দাই না,,, কেন আমাকে আপু বলে ডাকতে বারন করে! এসব কথা ভাবতে ভাবতে চোখ থেকে অনবরত পানি পরছে,,,,


  কেউ দেখে না এই পানি কেউ বুঝে না আমাকে,,,, এভাবেই চলছে আমার দিন কাল,,, প্রতিদিন আমাকে অপমান হতে হয় আরো নানান কথা শুনতে হয়....... আজ কলেজে আসছি প্রায় ৭ দিন পর আসলাম কলেছে.....


  আমার বন্ধু বলতে তেমন কেউ নেই একটায় আছে যাকে আমি সবকিছু বলি, আসলে আমার সাথে তেমন কেউ বন্ধুতো করতে আসে না,


  আসবেই বা কি করে সবাই দামি দামি পোশাক পড়ে কলেছে আসে আর আমার পোশাকের কথা নাইবা বললাম, বছরে দুইটা প্যান্ট,দুইটা শার্ট পাই, তো সব গুলো ক্লাস করলাম,,, তারপর ক্লাস শেষ করে আমার একমাত্র বন্ধু রিফাতের সাথে কিছু কথা বলে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম.....


  রাস্তা দিয়ে হাটছি এমন সময় খেয়াল করলাম কয়েকটা ছেলে একটা মেয়কে অনেক বাজে বাজে কথা বলছে যা আমি মিখেও আনতে পারবো না,,,, তাই আর সহ্য করতে না পেরে রাস্তার পাশ একটা রড পরেছিল তা দিয়ে যে সবথেকে বাজে কথা বলছি তার পায়ে মারি আর আমার হাতে রড দেখে বাকি ছেলেগুলো পালিয়ে যাই,,,,,


  মেয়েটা→ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া! আমি→ আরে আপু এখানে ধন্যবাদের কি আছে, আপনি তো আমার বড় আপুর মতো আর আমার আপুকে এসব ছেলেদের হাত থেকে রক্ষা করা দায়িত্ব!


  তারপর আরো কিছু কথা বলে আমি বাসায় চলে আসি...... বাসায় এসে বাড়ির যা যা কাজ ছিলো সব শেষ করি,,, তারপর বিকেলের দিকে একটু ছাদে যায়,,,, দাড়িয়ে দাড়িয়ে এই ব্যস্ত শহরটাকে দেখছি,,, হটাৎ কেউ আমাকে পিছন থেকে ডাকলো আর আমি পিছনে ঘুরতেই......


  ঠাসসসসসসসসসসসসসসস ঠাসসসসসসসসসসসসসসসস আপু→ এই ছোটোলোকের বাচ্চা তোর সাহস কি করে হয় রনিকে মারার ........


  আমি→ কি বলছো আপু রনিকে মেরেছি মানে..... আপু→আজ দুপুরে তুই কাকে রড দিয়ে মেরেছিস, জানি ঐ টা আমার বিএফ আর তুই ওর গায়ে হাত তুললি, তোকে আর এই বাড়িতে আমি থাকতে দিবো না, আমি→ দেখ আপু ঐ ছেলেটা অনেক বাজে বাজে কথা বলছিলো একটা মেয়েকে, তাই আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি, আর আমি জানতাম না ঐটা তোমার বিএফ,


  আর ছেলেটা ভালো না আপু অনেক খারাপ....... ঠাসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসস সসসসসসসসসসসস আপু→ তোর কাছে থেকে শিখতে হবে কে ভালো আর কে খারাপ, যার বাবা,মা নেই সে কি করে বুঝবে কে খারাপ কে ভালো,


  তোকে তো আমি বাড়ি থেকে বের করবোই তুই আমার রনির গায়ে হাত তুলেছিস,,


  কথা গুলো বলে আপু হন হন করে চলে গেলো...... আর আমার আকাশটা কালো মেঘে ঢেকে গেলো!  


আমি তো কোনো খারাপ কিছু করিনি তাহলে কেন আমাকে এভাবে মারলো তারা কেন আমালে বারে বারে মনে করিয়ে দাই আমি এতিম.. মা দেখছো তোমার ছেলেকে কেউ ভালোবাসে না, তোমরা কেন আমাকে রেখে গেলে মা, আমি যে আর পারছি না জীবন যুদ্ধে লড়াই করতে, আমি যে অনেক ক্লান্ত মা অনেক ক্লান্ত! এভাবে কেটে গেলো আরো বেশ কিছুদিন চাচা কই দিনের জন্য দেশের বাহিরে গেছে, এখন আমার ওপর অনেল বেশিই অত্যাচার হয় আমি সব মুখবুজে সহ্য করি..... প্রতিদিনের মতো আজো সকালে উঠে বাড়ির সবকাজ শেষ করি,,,,, হটাৎ আপু অনেক জোরে জোরে চিৎকার শুরু করে তাই আমি সেখানে যায়,,,,, আপু→ আমার আলমারি থেকে কে ২০ হাজার টা নিয়ে নিয়েছে,,,,,


  চাচি → কি বলিস এসব তোর টাকা আবার কে নিবে,,, আপু→ তা আমি কি ভাবে বললো, ফয়সাল তুই টাকাটা নিস নি তো????


  আমি→ কি বলো আপু আমি কেন তোমার টাকা নিতে যাবো, চাচি→ তো বাড়ি তে আর কে আছে টাকা নেওয়ার মতো হ্যা.....


  আপু→ ঠিক বলেছো আম্মু, আমরা ফয়সালে রুমে গিয়ে দেখি টাকাটা পায় কি না, বলাতো যায় না কে টাকাটা চুরি করেছে..... আমি→ আমি টাকা নিই নি আপু,, আচ্ছা চলো আমার রুমে চলো,,  


তারপর আমার রুমে গেলো অনেক খুজাখুজি করলো হটাৎ...... আপু→ আম্মু এই দেখো টাকা ( অনেক গুলো টাকা দেখিয়ে)


  চাচা→ ওরে হারামজাদা তুই টাকা গুলা নিয়েছি, দুধকলা দিয়ে তাহলে এতো দিন কাল সাপ পুষেছি এতো দিন...... আমি→ চাচি বিশ্বাস করো টাকা গুলো আমি নিই নি! আমি জানিনা এই গুলো আমার রুমে কিভাবে এলো, আপু→ আম্মু তুমি এর কাথা না শুনে লোকজন ডাকো তো চুরি করেছে শাস্তি তো পেতেই হবে,,,


  চাচি→শাস্তি মানে একে আর এই বাড়িতেই রাখবো না,,,,, তারপর আপু কাকে যেন ফোন করে আসতে বললো,,,, আমি চুপ করে আছি কারন আমি জানি এখানে বলে কিছুই হবে না,,,,


  আর আমি তো টাকা গুলো চুরি করিনি তাহলে টাকা গুলো এখানে এলো কি করে,,, কেই কি আমাকে ফাসাচ্ছে কাল রাতে তো আপু আমার রুমে এসেছিল তাহলে কি আপুই আমাকে,,,, হুম আপু তো বলেছিলো সে আমাকে আর এই বাড়িতে থাকতে দিবেনা, হুম এবার বুঝতে পারছি এসব আপুরই কাজ.....


  এসব ভাবছি তখনি রনি এলো মানে যাকে আমি মেরেছিলাম তার সাথে আরো কিছু ছেলে এলো,,, তারপর আমাকে একটা রুমে নিয়ে গিয়ে অনেল মারলো,,, সেখানে আপুও ছিলো,


  আপু→ কি রে আর মারবি আমার রনিকে, এখন বুঝ ঠেলা, মারো রনি মারো তোমার সব রাগ আজ শুদে আসলে তুলে নাও,,,, আমি তো কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি,  


আপু এটা আমার সাথে করতে পারলো,, আমার যতো টা না কষ্ট হচ্ছে মার খেয়ে তার থেকেও বেশি কষ্ট হচ্ছে আপুর কথা গুলো শুনে........... আমাকে অনেক মারা হলো তারপর বাসা থেকে বের করে দেওয়া হলো,,, ঠিক মতো হাটতে পারছি না পুরা শরীর ব্যাথ্যা করছে,, আজ মা, বাবার, কথা অনেক মনে পরছে, ↓ ↓ ↓ আজ প্রায় এক মাস ধরে বাসায় বাহিরে আছি কেউ আমার খোজ খবর নাই না,,,,


  আমি মাঝে মাঝে তাদের খোজ খবর নিই সবাই ভালোই আছে, আপুর কি একটা অসুখ হয়েছে কিন্তু ঠিক ভাবে কিছুই জানতাম না,,,,,, এসব জানতাম আমার বন্ধুর কাছে থেকে,,,,


  এখন আমি হোটেলে কাজ করছি হটাৎ বন্ধুর আগমন,,,,

  বন্ধু→ এই রাজু কাহিনি জানিস,,,, আমি→ কিসের কাহিনিরে,,,, বন্ধু→ আরে দিপা আপুর তো মরা মরা অবস্থা,


  তার নাকি দুইটা কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে, কিন্তু কোথাও কিডনি খুজে পাচ্ছে না,,,, আর আজকে মধ্যে কিডনি খুজে না পাওয়া গেলে,,, নাকি তাকে বাচানো যাবে না,,, আর এখন তাকে রাজশাহি মেডিকেলে রাখা হয়েছে,,,,,  


এসব কথা শুনে আমার চোখ দিয়ে পানি পরতে শুরু করে,,,,,,,,,,,,,,, ↓ ↓ ↓ ↓ →এখন কেমন লাগছে মা,,,,, → হুমমমম আম্মু ভালো,,,,


  → ঠিক সময় যদি তোর কিডনি না পাওয়া যেন তাহলে হয়তো তুই আর বেচে থাকতি না,,, → কিন্তু আম্মু কিডনি তো নাকি পাওয়া যাচ্ছিলো না,, তাহলে,,,, → জানি নারে মা তোকে নাকি কেউ তার দুইটা কিডনি দান করেছে..... → কে আম্মু..... → সেটা তো আমরাও জানিনা, তোর বাবা অনেক জাবার চেষ্টা করেছে কিন্তু জানতে পারিনি,,,,,  


এসব কথা হচ্ছিল দিপা এবং তার মায়ের তখনি ডাক্তার এসে দিপার হাতে একটা চিঠি ধরিয়ে দিলো আর বললো যে তোমাকে কিডনি দুইটা দিয়েছে সে তোমাকে এই চিঠিটা দিতে বলেছে,,,,,,,


  তাই দিপা চিঠিটা পেয়েই পড়া শুরু করে....... ..………… প্রিয় আপু, মা, বাবা এখন হয়তো আমিও আর এই নাটকীয় পৃথিবীতে নেই,


  এই আপু আজ প্লিজ রাগ করিস না আজ তোকে তুই বলতে অনেক মন চাইলো রে,,, আর চাচি তোমাকেও না বলে ফেললাম তুমি কি আজও রাগ করবে বলো,,, রাগ করো না আর তো কখনো বলবো না আজকেই শেষ,,,,,,,,


  জানিস আপু আমি আজ অনেক খুশি কানর আজ আমাকে আর কেউ কষ্ট দিতে পারবে না, আর কেউ আমাকে প্রতিদিন চর মারতে পারবে না, তোর অনেক রাগ হচ্ছে অনেক তাই নারে তুই আর কাউকে চর মারতে পারবি না,


  এখন তোকে নিজের কাপড় নিজেই ধুতে হবে, কি করবো বল আপু আমি তো তোদের ছেরে যেতে চাইনি রে,,,, কিন্তু কি করবো বল তোকে বাচানোর আর যে কোনো পথ ছিলো না রে,,,


  আর তোর যদি কিছু হতো তাহলে তো বাবা,মা অনেক কষ্ট পেতো তারা তো বেচে থেকেও মরে যেতো রে,,, আর আমি তো কাউকে আর কখনো আপু বলতে পারতাম না,, আমি জানি আমি যখন তো কে আপু বলতাম তখন তোর অনেক রাগ হতো, কিন্তু বিশ্বাস কর আপু আমার না অনেক ইচ্ছে হতো আমাকেও কেউ আদর করে ভাই বলে ডাকুক,


  কিন্তু তুই তো আমাকে ছোটলোক বলে ডাকতি, আর তখন আমি রুমে গিয়ে অনেক কাদতাম, আমি ভাবতাম আমি যদি তোর নিজের ভাই হতাম তাহলে কি এমন করতি আমার সাথে,,


  অনেক কষ্ট হতো তখন আমার কিন্তু তাও তোকে বার বার আপু বলতে মন চাইতো,,,, তুই যখন আমার খাওয়া বন্ধ করে দিতি তখন আমি শুধু পানি খেয়ে থাকতাম অনেক খুদা লাগতো জানিস আপু!


  আর মা তুমি যন আপুকে নিজের হাতে খাবার খাইয়ে দিতে আমারও না অনেক ইচ্ছে হতো তোমার হাতে খেতে কিন্তু কখনো ভয়ে বলতে পারিনি যদি তুমি আমাকে মারো, আর জানো মা আমি না টাকা গুলো চুরি করিনি,  


এই আপু বলনা মাকে যে আমি টাকাগুলো চুরি করিনি তুই তো সবি জানিস, আমাকে যখন রনি তার বেল্ট দিয়ে মারছিলো আমার বা তখন অনেক লাগছিলো রে আপু, আর তুই তখন হাসছিলি, তাও আমার কোনো দুঃখ নেই রে আপু,  


আপু তুই কি এখন আমার জন্য কাদছিস আমি জানি তুই কাদবি না কারন আমি তো তোর কেউ না তাই না, আপু তোর কাছে একটা জিনিস চাইবো দিবি আমাকে একবার ভাই বলে ডাকবি রে আপু অনেক ইচ্ছে করে তোর মুখে ভাই ডাক শুনতে, ডাক নারে আপু তুই ডাকলে আমি ঠিক শুনে পাবো, প্লিজ ডাক,,,,, আর মা তোমার কাছে আমার একটায় চাওয়া আমার লাশটায় তুমি একবার মাথায় হাতবুলিয়ে জরিয়ে ধরবে,


  বাবা তুমি কাদবা না কিন্তু আমি তো আপুর মাঝেই বেচে থাকবো, আর আমাকে কিন্তু আমার বাবা, মার কাছে কবর দিবা, এই আপু তুই এখনো আমাকে ভাই বলে ডাকলি না,


  ডাক নারে একবার এটাই তো শেষ রে আপু প্লিজ ডাক! থাক আর ডাকতে হবে না, ভালো থাকিস কেমন, আর আমার কথায় কিছু মনে করিস না, লাভ ইউ রে আপু,,,,,,,,,,,  


ইতি তোমাদের বাসায় আপদ! চিঠি তা পরে দিপা চিৎকার দিয়ে কেদে উঠে আর বলতে থাকে এই ভাই ফিরে আই না, আমি আর তোকে কখনো কষ্ট দিবো না প্লিজ তুই ফিরে আয়.........


  কিন্তু সে তো আর কখনোই ফিরে আসবে না...... আর যে তাকে ছেড়ে চলে গেছে না ফেরার দেশে ।


   _______সমাপ্ত_______